এল আর বাদল: [৩] বাংলাদেশ ক্রিকেটের হার্ডহিটার তামিম ইকবাল খান অবসরের ঘোষণা প্রত্যাহার করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরে আসলেন। শুক্রবার বিকালে গণভবনে দুই ঘণ্টার আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে তামিম এ সিদ্ধান্ত নেন। অভিজ্ঞ এই ব্যাটার নিজেই এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, মানসিক এবং শারীরিক অবস্থা ভালো না থাকায় আমি ক্রিকেট থেকে দেড় মাস বিরতিতে থাকবো।

[৪] বিডিনিউজ অনলাইন জানায়, অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার মাধ্যমে তামিমকে গণভবনে ডেকে নেন প্রধানমন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন তামিমের স্ত্রী। পরে সেখানে ডেকে নেওয়া হয় বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনকে। সন্ধ্যা ৬টার দিকে সেখান থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের তামিম জানিয়ে দেন সিদ্ধান্ত বদলের কথা।

[৫] তামিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাকে উনার বাসায় আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। অনেকক্ষণ আমরা আলোচনা করেছি। উনি আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন খেলায় ফিরে আসতে। আমি আমার অবসর এই মুহূর্তে উঠিয়ে নিচ্ছি। কারণ, আমি সবাইকে না বলতে পারি, কিন্তু দেশের যে সবচেয়ে বড় ব্যক্তি, তাকে না বলা আমার পক্ষে অসম্ভব। 

[৬] তিনি বলেন, মাশরাফি ভাই আমাকে ডেকে এনেছেন, পাপন ভাই সঙ্গে ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী আমাকে এক-দেড় মাসের একটা ছুটিও দিয়েছেন। আমার যা চিকিৎসা আছে বা অন্য কোনো কিছু, মানসিকভাবে যদি আমি ফ্রি হতে পারি। তারপরে যে খেলাগুলো আছে, আমি ইনশাল্লাহ খেলবো। 

[৭] এশিয়া কাপে অধিনায়ক হিসেবে ফিরবেন নাকি খেলোয়াড় হিসেবে, সেই সিদ্ধান্ত এখনও নেননি তামিম। তিনি জানালেন, বিরতি থেকে ফেরার পর এই সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি।

[৮] গত বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের একটি হোটেলে নাটকীয়ভাবে অবসরের ঘোষণার পর তামিমের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না বিসিবি কর্তারা। বিসিবি পরিচালকদের সঙ্গে সভার পর মাঝরাতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিসিবি সভাপতি জানান, কোনোভাবেই তারা তামিমের কাছ থেকে কোনো সাড়া পাচ্ছেন না।

[৯] বোর্ড প্রধানের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে না পেরে প্রধানমন্ত্রী যোগাযোগ করেন সাবেক অধিনায়ক ও নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফির সঙ্গে। পরে মাশরাফিই তামিম ও তার স্ত্রীকে নিয়ে যান গণভবনে।

[১০] দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে তারা গণভবনে প্রবেশ করেন। কিছুক্ষণ সবার একসঙ্গে আলোচনা হয়। কিছুক্ষণ পরে ডেকে নেওয়া হয় বিসিবি সভাপতিকে। পরে তামিম ও তার স্ত্রীর সঙ্গে আলাদা করে ২ ঘণ্টার বেশি সময় কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

[১১] বিসিবি সভাপতি সাংবাদিকদের বলেন, আমার বিশ্বাস ছিল আলোচনায় বসলেই সব সমাধান হয়ে যাবে। সম্পাদনা: সালেহ্্ বিপ্লব